৯ দিনেও উদ্ধার হয়নি ইউএনও অফিস থেকে গায়েব হওয়া মোবাইল।
পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি
শেখর মজুমদার
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার সর্বত্র মোবাইল চুরির ঘটনা প্রতিদিন বেড়েই চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চুরি হয়ে যাওয়া মোবাইল মালিকরা প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে স্বরূপকাঠি থানায় একাধিক জিডি হলেও তার কোনো কার্যকারিতা নেই বলে জানান ভুক্তভোগিরা।
প্রতি মাসে থানায় ১৫ থেকে ২০ টি মোবাইল চুরির জিডি হলেও উদ্ধার হওয়া মোবাইলের সংখ্যা হাতে গোনা বলে জানান স্বরূপকাঠি থানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।
একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, ক্ষতিগ্রস্তরা থানায় জিডি করলেও এ বিষয়ে তেমন একটা কার্যকারিতা দেখা যায়না। এদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে স্বরূপকাঠি উপজেলায় কর্মরত একাত্তর বাংলা টিভির প্রতিনিধি মো. তুহিন আহসান বলেন, আমার ভিভো ওয়াই এইট্টি ওয়ান এনড্রোয়েট মোবাইল ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি চুরি হয়ে যায়। আমি পরের দিন থানায় গেলে তারা আমাকে সাধারণ ডায়রী করার পরামর্শ দেয়। ৬৯৮ নম্বরে সাধারণ ডায়রী করে মোবাইল ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় এখনো আমি।
এদিকে গত ১ মার্চ দ্যা নিউজটুডে পত্রিকার পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি মো. আসাদুজ্জামানের একটি ওয়ালটন প্রিমো HM4 এনড্রোয়েট সেট উত্তর কৌরিখাড়া বিসিক সংলগ্ন শিমুল তলায় মো. জসিমের মায়ের আদর দোকান থেকে দুপুর ১ টায় চুরি হয়ে যায়। এ ব্যাপারে আসাদ চুরির মামলা করার জন্য থানায় গেলে অফিসার ইনচার্জ মামলা না করে জিডি করার পরামর্শ দেন। ৩ মার্চ ২০২১ তারিখে ১৩৩ নম্বরে একটি জিডি করে সে চলে আসেন তিনি।
ভুক্তভোগী আসাদ জানান, ওই একই দিনে স্বরূপকাঠি পৌরসভার এক বাসিন্দার মোবাইল হারিয়ে যাওয়ায় আরও একটি জিডি হয়। এদিকে সর্বশেষ দৈনিক সুন্দরবন পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনের সিম্ফোনী আই টেন প্লাস মোবাইল সেট খোদ নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোশারেফ হোসেনের কক্ষ থেকে হারিয়ে যায় গত ২২ মার্চ । রুমের বাহিরে লাগানো সিসি ক্যামেরায় মোবাইল নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করার ছবি দেখা গেলেও ইউএনওর রুম থেকে মোবাইল কোথায় গেলো তা আর দেখা যাচ্ছেনা।
আনোয়ার বলেন, উপজেলা সর্বোচ্চ কর্মকর্তা তাকে জানান, তার রুমে সি সি ক্যামেরা লাগানো নেই তাই মোবাইলটি কার হাতে গেছে তা আর দেখা যায়নি। আনোয়ার আরো বলেন, আমি গত ২৪ মার্চ থানায় জিডি করেছি। জিডি নং ১২৯৭ ।
এদিকে খোদ ইউ্এনও অফিস থেকে মোবাইল খোয়া যাওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মোবাইল ব্যবহারকারিরা।
ইউএনওর রুম থেকে মোবাইল খোয়া যাওয়ার ব্যাপারে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রনী দত্য জয় বলেন, উপজেলার সর্বোচ্চ কক্ষ থেকে সাংবাদিকের মোবাইল খোয়া যাওয়া কোনোভাবেই ভালো লক্ষন নয়। জনগন আমাদের কাছ থেকে নিরাপত্তাহীন হয়ে গেলে তারা যাবে কোথায় বলেও তিনি প্রশ্ন রাখেন। এই জনপ্রতিনিধি বলেন, আমি আশা করবো অতি দ্রুততার সহিত এ সমস্যা সমাধান করা হবে স্বরূপকাঠিতে
Leave a Reply