1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
লালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের দুই শিক্ষক চাকরীচ্যুত হয়েছেন - dainikbijoyerbani.com
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন
ad

লালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের দুই শিক্ষক চাকরীচ্যুত হয়েছেন

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২১
  • ৪৯২ Time View

জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের দুই শিক্ষক চাকরীচ্যুত হয়েছেন।

সিলেট ব্যুরো প্রধানঃ
সিলেটসহ দুনিয়াজুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ‘টুপি ও পাঞ্জাবি পরে নিয়মিত ক্লাসে আসায় চাকরীচ্যুত হয়েছেন জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের দুই শিক্ষক।

এমন সংবাদ প্রচারের পর থেকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা দেয় ক্ষোভ। কিন্তু বাস্তবেই কি তাই, নাকি ভিন্ন কিছু? এমন অবস্থায় জানা গেলো টুপি-পাঞ্জাবি পরার কারণে নয় বরং প্রতিষ্ঠানের পোশাকবিধি না মানায় কর্তৃপক্ষ কঠোর হওয়ার কারণেই গুজব ছড়িয়ে পড়েছে।

একটি সূত্র থেকে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি তাদের শুরু থেকেই পোষাকবিধি মেনে আসছিলো। করোনার আগেও সকলের ক্ষেত্রে পোশাকবিধির বাধ্যবাধকতা ছিলো। কিন্তু সম্প্রতি ক্লাস না থাকায় কলেজ কর্তৃপক্ষও ছিলো কিছু খামখেয়ালি। এমন সময় একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা পোশাকবিধি না মেনে নিজেদের ইচ্ছামত পোশাক পরে কলেজে আসা শুরু করেন।

এমনকি কিছুদিন তারা কলেজে আসেনও। সম্প্রতি পোশাকবিধির বিষয়ে ফের কড়াকড়ি আরোপ করে কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত সম্মান করে অন্যান্য সকল শিক্ষক পোশাকবিধি অনুসরণ করলেও মানতে নারাজ পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল হালিম ও আইসিটি বিভাগের প্রভাষক মুজাহিদুল ইসলাম।

এমন অবস্থায় তাদেরকে বার বার শোকজ পাঠানো হলেও পাত্তা দিতে চাননি। পরে গভর্নিং কমিটির একটি সভায় পোশাকবিধি মানতে কড়াকড়ি আরোপ করে না মানলে নিজ ইচ্ছায় অব্যাহতি নিতে পারেন বলে ওই দুই শিক্ষককে অবগত করা হলেই ছড়ায় গুজব। এ গুজবে আন্দোলনে নামেন সাবেক শিক্ষার্থীরা।
ওই দুই শিক্ষককে অব্যাহতি প্রদানের অভিযোগ এনে শনিবার (৩ এপ্রিল) কলেজের সকালে সামনে প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন। এসময় দুই শিক্ষককে ফের কলেজে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান মানববন্ধনকারীরা।

তবে শনিবার দুপুরে কলেজের সামনে মানববন্ধনকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল আরিফুল ইসলাম রেজা বলেন, ‘অনলাইনে যে বিষয়টি ভাইরাল হয়েছে তা সত্যি নয়। প্রভাষক আব্দুল হালিম ও মুজাহিদুল ইসলামের বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বা তাদের চাকরীচ্যুত করা হয়নি।

গভর্নিং বডির ৫২ তম মিটিংয়ে তাদেরকে ডেকে প্রতিষ্ঠানের পোষাকবিধি মানার জন্য কঠোরভাবে বলা হয় এবং ৩১ মার্চের আগে তাদেরকে তিনবার শোকজ পাঠানো হয়। কিন্তু বার বারই তারা দুজন প্রতিষ্ঠানের পোষাকবিধি মানতে অনীহা প্রকাশ করেন। সর্বশেষ ৩১ মার্চ গভর্নিং বডির মিটিংয়ে তাদেরকে ডেকে বলা হয়- প্রতিষ্ঠানের পোষাকবিধি না মানলে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিতে পারেন। তবে তাদেরকে চাকরীচ্যুত করা হয়নি। এটাই তাদের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ।

এদিকে প্রভাষক আব্দুল হালিম জানান, ‘আমি ও প্রভাষক মুজাহিদুল ইসলাম নিয়োগের সময় পাঞ্জাবি-টুপি পরে কলেজে আসার জন্য আবেদন করি।

সাবেক অধ্যক্ষ আমাদের তখন অনুমতি প্রদান করেন। কিন্তু বর্তমান অধ্যক্ষ পোষাকবিধি মানার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এমন অবস্থায় অনেকে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মানতে পারলেও আমরা তা মানতে পারিনি। তাই গভর্নিং বডি থেকে আমাদেরকে মৌখিক ভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সিলেট ব্যুরো প্রধানঃ
সিলেটসহ দুনিয়াজুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ‘টুপি ও পাঞ্জাবি পরে নিয়মিত ক্লাসে আসায় চাকরীচ্যুত হয়েছেন জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের দুই শিক্ষক।

এমন সংবাদ প্রচারের পর থেকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা দেয় ক্ষোভ। কিন্তু বাস্তবেই কি তাই, নাকি ভিন্ন কিছু? এমন অবস্থায় জানা গেলো টুপি-পাঞ্জাবি পরার কারণে নয় বরং প্রতিষ্ঠানের পোশাকবিধি না মানায় কর্তৃপক্ষ কঠোর হওয়ার কারণেই গুজব ছড়িয়ে পড়েছে।

একটি সূত্র থেকে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি তাদের শুরু থেকেই পোষাকবিধি মেনে আসছিলো। করোনার আগেও সকলের ক্ষেত্রে পোশাকবিধির বাধ্যবাধকতা ছিলো। কিন্তু সম্প্রতি ক্লাস না থাকায় কলেজ কর্তৃপক্ষও ছিলো কিছু খামখেয়ালি। এমন সময় একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা পোশাকবিধি না মেনে নিজেদের ইচ্ছামত পোশাক পরে কলেজে আসা শুরু করেন।

এমনকি কিছুদিন তারা কলেজে আসেনও। সম্প্রতি পোশাকবিধির বিষয়ে ফের কড়াকড়ি আরোপ করে কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত সম্মান করে অন্যান্য সকল শিক্ষক পোশাকবিধি অনুসরণ করলেও মানতে নারাজ পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল হালিম ও আইসিটি বিভাগের প্রভাষক মুজাহিদুল ইসলাম।

এমন অবস্থায় তাদেরকে বার বার শোকজ পাঠানো হলেও পাত্তা দিতে চাননি। পরে গভর্নিং কমিটির একটি সভায় পোশাকবিধি মানতে কড়াকড়ি আরোপ করে না মানলে নিজ ইচ্ছায় অব্যাহতি নিতে পারেন বলে ওই দুই শিক্ষককে অবগত করা হলেই ছড়ায় গুজব। এ গুজবে আন্দোলনে নামেন সাবেক শিক্ষার্থীরা।
ওই দুই শিক্ষককে অব্যাহতি প্রদানের অভিযোগ এনে শনিবার (৩ এপ্রিল) কলেজের সকালে সামনে প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন। এসময় দুই শিক্ষককে ফের কলেজে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান মানববন্ধনকারীরা।

তবে শনিবার দুপুরে কলেজের সামনে মানববন্ধনকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল আরিফুল ইসলাম রেজা বলেন, ‘অনলাইনে যে বিষয়টি ভাইরাল হয়েছে তা সত্যি নয়। প্রভাষক আব্দুল হালিম ও মুজাহিদুল ইসলামের বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বা তাদের চাকরীচ্যুত করা হয়নি।

গভর্নিং বডির ৫২ তম মিটিংয়ে তাদেরকে ডেকে প্রতিষ্ঠানের পোষাকবিধি মানার জন্য কঠোরভাবে বলা হয় এবং ৩১ মার্চের আগে তাদেরকে তিনবার শোকজ পাঠানো হয়। কিন্তু বার বারই তারা দুজন প্রতিষ্ঠানের পোষাকবিধি মানতে অনীহা প্রকাশ করেন। সর্বশেষ ৩১ মার্চ গভর্নিং বডির মিটিংয়ে তাদেরকে ডেকে বলা হয়- প্রতিষ্ঠানের পোষাকবিধি না মানলে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিতে পারেন। তবে তাদেরকে চাকরীচ্যুত করা হয়নি। এটাই তাদের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ।

এদিকে প্রভাষক আব্দুল হালিম জানান, ‘আমি ও প্রভাষক মুজাহিদুল ইসলাম নিয়োগের সময় পাঞ্জাবি-টুপি পরে কলেজে আসার জন্য আবেদন করি।

সাবেক অধ্যক্ষ আমাদের তখন অনুমতি প্রদান করেন। কিন্তু বর্তমান অধ্যক্ষ পোষাকবিধি মানার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এমন অবস্থায় অনেকে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মানতে পারলেও আমরা তা মানতে পারিনি। তাই গভর্নিং বডি থেকে আমাদেরকে মৌখিক ভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি