1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
নওগাঁয় মাটি কাটার পরিবর্তে কেটে নিলেন চেয়ারম্যান নানা শশুড়ের ধান - dainikbijoyerbani.com
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
ad

নওগাঁয় মাটি কাটার পরিবর্তে কেটে নিলেন চেয়ারম্যান নানা শশুড়ের ধান

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩
  • ৬৬ Time View

 

মোসফিকা আক্তার , জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ:
নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় ইজিপিপি প্রকল্পের তালিকাভুক্ত প্রায় ৯৫ জন শ্রমিক কাজ করার কথা থাকলেও; মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে প্রায় ৬০ জন শ্রমিক। এই প্রকল্পের বাকি প্রায় ৩৫ জন শ্রমিকের টাকা কে বা কারা নিচ্ছে এটাও যেন রহস্য।

এই প্রকল্পে চলছে ব্যাপক অনিয়ম। জানা গেছে, গত সাতাশ মে শনিবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সারোয়ার কামাল চঞ্চলের নানা শশুর বাড়ি পত্নীতলা উপজেলায় ধান কাটার জন্য ২৬ জন শ্রমিক কে নিয়ে যায়। পত্নীতলার নজিপুর এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় চেয়ারম্যানের নানা শ্বশুরের জমি নিয়ে চলছিল বিরোধ এই বিরোধ বা মামলা চলাকালীন সম্পত্তির ধান জবরদস্তি কাটার জন্যই কর্মসূচির শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পত্নীতলার নজিপুরে।

শ্রমিকদের মধ্যে হেলাল, জেমি সহ বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা বলে, আমাদের ইউনিয়নে এই প্রকল্পে পঁচানব্বই জনের নাম থাকলেও আমরা প্রায় ষাট জন প্রতিদিন কাজ করে থাকি বাকীরা কাজে আসে না। আর শনিবার চেয়ারম্যান তার নানা শশুড় বাড়ির ধান কাটার কথা বলে ট্রাকে করে আমাদের নজিপুর নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে জমির অর্ধেক ধান কাটা হলে এলাকার বেশ কিছু লোকজন এসে বাধা প্রদান করে। ঐ এলাকার এক মহিলা বলেন, এই ধান আমরা কষ্ট করে লাগিয়েছি আপনারা কোথা থেকে এসে আমাদরে ধান কাটছেন। তখন আমরা জানতে পারি মামলা চলা জমিতে চেয়ারম্যান জোর করে ধান কাটার জন্য আমাদের নিয়ে গেছেন। আমরা ধান কাটা বন্ধ করি, এক পর্যায়ে পত্নীতলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আমাদের কে চেয়ারম্যান নিয়ে চলে আসেন।

এ বিষয়ে বক্তারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সারোয়ার কামাল চঞ্চল কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, প্রথমে বলেন ভূয়া খবর পরে যোক্তি দেয় “আমার এলাকায় যাকাত দিলে যাকাত হবে আর অন্য এলাকায় দিলে হবে না।” বাংলাদেশের যেকোন জায়গায় আমার কর্মসূচি প্রকল্পের লোক দিয়ে কাজ করাতে পারি। আমার ইউনিয়ন নিয়ে পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি হয় আমি একজন গর্বিত চেয়রম্যান। আবার তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে অস্বীকার করেন।

নওগাঁ সদর উপজেলার প্রকল্প অফিসার মাহবুবুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান যা করেছে তা নিয়ম নিতী বহির্ভূত কাজ। আমরা ইতিমধ্যেই তালিকা করেছি প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা বিল বন্ধ করবো এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জা ইমাম উদ্দিন বলেন, ইতিমধ্যেই বিষয়টি আমি জেনেছি তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি